মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে আসার পথ দুটি। আলোচনা ও রাজপথ। বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনার একটা পথ বের করতে হবে। প্রথমত, সরকারের দিক থেকেই এই উদ্যোগ আসতে হবে। তবে আমরা এখনো সে লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না।
দেখতে হবে, সংকট যে আছে, সরকার তা স্বীকার করে কি না। গত দুটি নির্বাচনে যে অবস্থা ছিল, সরকার সে অবস্থান থেকে সরতে চায় কি না। বড় দল বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায় কি না। এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে।
সরকারকে বলতে হবে, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তবে বর্তমানে দেশে যে ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আছে, তা অব্যাহত রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কয়েক দিন আগে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে (ঢাকা–১৭ সংসদীয় আসন) বোঝা গেল, এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে, এই প্রশাসন দিয়ে, পুলিশের এই আচরণ দিয়ে, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের এমন মনোভাব নিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
এখন প্রশ্ন হলো সমঝোতা করতে হলে সেটার ভিত্তি কী হবে? আলোচনার একটি অ্যাজেন্ডা (বিষয়) থাকতে হবে। আর আলোচনার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে। তারাই ক্ষমতায় আছে। গোটা নির্বাচনব্যবস্থা সরকার নিজের মতো সাজিয়েছে। এতে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে সমঝোতার উদ্যোগে বিরোধীদের কাছ থেকে প্রথমে আসবে, এমন আশা করা ঠিক হবে কী? খেয়াল রাখতে হবে, তারা (বিরোধীরা) তো বলেনি আলোচনায় বসবে না।
প্রথম প্রকাশ : প্রথম আলো, ২৪ জুলাই ২০২৩