গত ১৫ জুলাই যুগান্তরের প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘চাপ নেই, লাভই দেখছে আওয়ামী লীগ’। পাশেই আরেকটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘চাপ বাড়বে মনে করে বিএনপি’।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই দেশীয় রাজনীতিতে বিদেশিদের আগ্রহ দৃশ্যমান হয়। গত ২৪ মে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর বিদেশি চাপের আলোচনা সর্বব্যাপী হয়ে পড়ে।
এসব কি আসলেই বিদেশিদের চাপ? নাকি এগুলোর কারণ আমাদের নিজেদের ঘর নিজেদের সামলাতে ব্যর্থতা? আমাদের দায়বদ্ধতাহীনতা? আমাদের নির্বাচন নিয়ে কেনই বা বিদেশিদের এমন আগ্রহ?
এটি ভুললে চলবে না যে, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সাংবিধানিকভাবেই অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী : ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত না হলে এ মূলনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার মূল ভিত্তিই হলো জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, যার জন্য আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণ দিয়েছিলেন।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবেও অঙ্গীকারবদ্ধ। জাতিসংঘের ‘সর্বজনীন মানবাধিকার সনদ’ একটি আন্তর্জাতিক আইন এবং এটি মানতে আমরা বাধ্য। এছাড়া ‘ইন্টারন্যাশনাল কভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসে’র মতো আরও অনেক চুক্তিতে আমরা স্বাক্ষরদাতা, যা মানার ব্যাপারেও আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সর্বজনীন মানবাধিকার সনদের ২১ ধারা অনুযায়ী, ‘সরকারের কর্তৃত্বের ভিত্তি হবে জনগণের ইচ্ছা এবং এটির প্রকাশ ঘটবে সময়মাফিক ও বৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে, যা হবে সর্বজনীন, গোপন ব্যালট বা মুক্তভাবে ভোট প্রদানসমৃদ্ধ।’
অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল কভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের ২৫(খ) ধারায় বলা হয়েছে, সময়মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট প্রদান ও প্রার্থিতা হতে হবে সর্বজনীন, সমতার ভিত্তিতে ও গোপন ব্যালটের মারফত, যা ভোটারদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তার বিধান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে হলে আমাদের এসব আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি মেনে চলতে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে।
নির্বাচন একদিনের বিষয় নয়-এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যেটি হতে হবে যথাযথ, স্বচ্ছ ও কারসাজিমুক্ত। আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচনের কতগুলো মানদণ্ড রয়েছে। একটি মানদণ্ড হলো ভোটারদের সামনে বিকল্প থাকা, যা থেকে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারে। কারণ, সংজ্ঞাগতভাবেই নির্বাচন হলো বিকল্পের-যথার্থ বিকল্পের-মধ্য থেকে বেছে নেওয়া। যেখানে যথার্থ বিকল্প থাকে না, তাকে নির্বাচন বলা চলে না। যেমন পান করার জন্য ট্যাপের পানি মিনারেল ওয়াটার বা সেদ্ধ পানির বিকল্প নয়, কিন্তু মিনারেল ওয়াটার সেদ্ধ পানির যথার্থ বিকল্প, কারণ উভয়ই নিরাপদ পানীয়। তাই নামকাওয়াস্তের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কিংবা একতরফা নির্বাচনকে নির্বাচনই বলা যায় না। এগুলোকে ভোটাভুটির একটি অনুশীলন বলাই শ্রেয়।
গত ৫২ বছরেও জনগণের সম্মতিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা রদবদলের সমস্যার আমরা সমাধান করতে পারিনি। গত এক দশকে এ অপারগতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয় : ‘রাজনৈতিক হয়রানির মামলা আমরা করি না, করব না…নির্বাচনে আসেন। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যারা জয়ী হবে, তারা ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ হবে না’ (প্রথম আলো, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮)। সেই অঙ্গীকার তো রক্ষা হয়ইনি, বরং নির্বাচনের নামে এক প্রহসন মঞ্চস্থ করা হয়েছে।
সব ব্যর্থতার মধ্যেও একটি আশার আলো জ্বালিয়েছিল সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী, যা আমাদের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক ধরনের ‘রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ সৃষ্টি করেছিল। এ বন্দোবস্তের ফলে নির্বাচনি মাঠ সমতল হয়েছিল এবং দুই দল সমসুযোগ পেয়েছিল, যার সুফলও জাতি হিসাবে আমাদের ঘরে উঠেছিল। আমাদের দেশে পরপর তিনটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছিল।
কিন্তু প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে ১০ মে ২০১১ তারিখের আপিল বিভাগের এক সংক্ষিপ্ত বিভক্ত আদেশের এক গুরুতর অপব্যাখ্যার ভিত্তিতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়, যার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। অপব্যাখ্যাটি ছিল যে, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছেন, তাই আইনের শাসনের খাতিরে ত্রয়োদশ সংশোধনী বিলুপ্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে (প্রথম আলো, ১ জুন ২০১১)। বাস্তবে আদালত ক্রান্তিকালীন ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তার খাতিরে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ‘প্রসপেক্টেভলি’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের আদেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে বিচারপতিদের বাদ দেওয়ার বিষয়টি সংসদের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন।
অপব্যাখ্যার ভিত্তিতে যে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হয়েছে, তার সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলে প্রয়াত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. জহিরের বক্তব্য থেকে : ‘আগামী দশম ও একাদশ নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায়। কিন্তু বিচারকদের না জড়ানোর জন্য সংসদ সংশোধনী আনতে পারবে বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে’ (বাংলা নিউজ, ১০ মে ২০১১)। প্রয়াত ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ভাষায় : ‘দুটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নয়, আদালতের আদেশ’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২ জুন ২০১১)। গবেষক ব্যারিস্টার ড. আদিবা আজিজ খানের মতে, ‘বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ এবং ভোটারদের বিরোধিতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সংসদে তার ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে পরবর্তী দুই জাতীয় নির্বাচনের সময়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল থাকার আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে।’ অর্থাৎ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করা হয়েছে আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত আদেশ অমান্য করে, অসাংবিধানিকভাবে। পঞ্চদশ সংশোধনী অসাংবিধানিক হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে সংযোজিত গণভোটের বিধান অমান্য করা।
শুধু অসাংবিধানিকভাবে সংবিধান সংশোধনই নয়, গত দেড় দশকে আমরা রাজনীতি এমন অধঃপতনে গিয়েছি যে, লগি-বৈঠা দিয়ে আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পিটিয়ে মারতেও দ্বিধান্বিত হইনি। পেট্রোলবোমা মেরে সাধারণ মানুষকে খুন করতেও আমাদের বিবেকে বাধেনি। গুম-খুন করতেও আমরা পিছপা হইনি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণে হিরো আলমের মতো একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে প্রকাশ্য দিবালোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে মারধর করতেও আমরা ভয় পাইনি। এসবই নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতিরই নগ্ন প্রতিফলন, যে রাজনীতি আমরা অনেক দিন থেকেই চর্চা করে আসছি। ক্ষুদ্র স্বার্থপ্রণোদিত, মনুষ্যত্ববিবর্জিত এসব কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সভ্য আচরণের পর্যায়ে পড়ে না। অসাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান করার ফলেই প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের দলীয়করণ হয়েছে এবং রাজনীতি চর দখলের স্তরে নেমেছে।
নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতির বর্তমান হাতিয়ার হলো দলীয় সরকার বনাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে আমাদের প্রধান দুটি রাজনৈতিক জোটের অনড় অবস্থান। এরই মধ্যে নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা ‘যুদ্ধের’ দামামা বাজিয়ে দিয়েছে। ফলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। গায়েবি মামলা রুজু হওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। সহিংসতা সহিংসতারই জন্ম দেয়, তাই বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি বেসামাল পর্যায়ে চলে যেতে পারে। মনে রাখা আবশ্যক যে, অতীতের নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতি সফল হয়নি, বরং যাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য টার্গেট করা হয়েছে, তারা পরবর্তীকালে আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাই ভবিষ্যতেও নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতি সফল হবে না। তবে এ অর্বাচীন আচরণ জাতি হিসাবে আমাদের খাদের ভেতরে ফেলে দিতে পারে।
এটি সুস্পষ্ট যে, আমাদের নিজেদের নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করতে পারিনি। আমরা আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছি। বরং আমরা আত্মঘাতী সংঘাতে জড়িত হয়ে পড়েছি। এ সংঘাত দীর্ঘমেয়াদিভাবে কারও জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা চরম হুমকির মধ্যে পড়বে। জাতির ভবিষ্যৎই অন্ধকারের চোরাগলিতে হারিয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় আমাদের নিজেদেরই নিজেদের থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের বন্ধুদের সহায়তা প্রয়োজন। তবে এ সহায়তা যেন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপে পরিণত না হয়।
আমাদের বর্তমান আত্মঘাতী আচরণের প্রেক্ষাপটেই আমাদের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের আগ্রহ, বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলোর আগ্রহের বিষয়টি আমরা দেখতে পারি। কারণ, আমরা সবাই এখন এক ‘গ্লোবাল ভিলেজে’র বাসিন্দা, প্রযুক্তির উৎকর্ষের কারণে যা আরও ছোট হচ্ছে। তাই আমাদের দেশে যা ঘটে, তার প্রভাব অন্যদের ওপরও পড়ে। যেমন-আমাদের দেশে সহিংসতা বেসামাল পর্যায়ে পৌঁছলে পশ্চিমা দেশে অভিবাসীর চাপ বেড়ে যেতে পারে, যা অনেক দেশেই একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ইস্যু। এ ছাড়া পরিস্থিতি চরম অস্থিতিশীল হলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিপথগামী হয়ে উগ্র পথে পা বাড়াতে পারে, যা সারা বিশ্বের কারও জন্যই মঙ্গলকর হবে না।
অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা রয়েছে। যেমন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ। তারা আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম-সাম্প্রতিক সময়ে সর্বাধিক-রেমিট্যান্সের উৎস। তাই আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া গণতন্ত্র ও মানবাধিকার যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতির অন্যতম স্তম্ভ। তাই আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে তাদের আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক। আর আমাদের ঘর নিজেদের সামলাতে অপারগতার জন্যই এ আগ্রহকে আমরা চাপ মনে করি।