উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার আগে কিছু কথা বলা যাক দারিদ্র্য নিয়ে। আমরা অনেকেই এখনো মনে করি টাকার অভাবই হচ্ছে দারিদ্র্য। আমরা জানি, বাংলাদেশের একটা জাতীয় দারিদ্রসীমা আছে, আবার আছে বিশ্বব্যাংকের চরম দারিদ্রসীমা। দিনে কোনো মানুষের উপার্জন ১.৯০ ডলারের নীচে হলে সেটাকে বিশ্বব্যাংক এবসল্যুট পভার্টি বলে। তবে পৃথিবীতে দারিদ্র্যের ধারণা শুধু অর্থের অভাবের পর্যায়ে আবদ্ধ নেই বেশ কিছুদিন থেকেই।
২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপি এবং অক্সফোর্ড পভার্টি এন্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ দারিদ্র্যকে নতুনভাবে দেখার চেষ্টা শুরু করেছে। এই সংস্থাগুলো নানারকম গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্তে এসেছে – দারিদ্র্য শুধুমাত্র টাকার অভাবজনিত একমাত্রিক ব্যাপার না, এটা বহুমাত্রিক। তাই তারা এটাকে বলছে ‘মাল্টিডায়মেনশনাল পভার্টি’।
এখন বিভিন্ন দেশকে এই বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের দিক থেকে দেখার চেষ্টা করে সূচকও তৈরি হচ্ছে। বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের ক্ষেত্রে অর্থের অভাবের সাথে সাথে শিক্ষার অভাব, খারাপ স্বাস্থ্য, সঠিক মানের কাজের অপ্রাপ্যতা, কাজের সঠিক পরিবেশের অভাব, সঠিক বাসস্থানের অভাব কিংবা অস্বাস্থ্যকর বা বিপজ্জনক এলাকায় বাসস্থান, সমাজে ক্ষমতায়িত হতে না পারা, এমন নানা বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়। অর্থাৎ আয়ের দিক থেকে কেউ দারিদ্র্য সীমার নীচে না থাকলেও বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের বিবেচনায় সে যথেষ্ট দরিদ্র হতেই পারে।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সর্বশেষ মাল্টিডায়মেনশনাল পভার্টি ইনডেক্সটি প্রকাশিত হয়েছে ২০২১ সালে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের এবসল্যুট পভার্টি ১৪.৩ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার ২৪.৬ শতাংশ। বাংলাদেশের সাথে তুলনার জন্য আমি বেছে নিচ্ছি নেপালকে। এর কারণ জানা যাবে কলামের শেষ দিকে। নেপালের এবসল্যুট পভার্টি ১৫ শতাংশ এবং বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার ১৭.৫ শতাংশ। উভয় দেশের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়েছে ২০১৯ সালের ডেটা।
পরবর্তী আলোচনার আগে একটি তথ্য জেনে রাখা জরুরী। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কোন দেশের অভ্যন্তরে থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে সেই দেশ সম্পর্কে ডেটা সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে কোনো স্টাডি করে না। সংস্থাগুলো সেসব দেশে প্রাপ্ত ডেটা নিয়ে তাদের বিশ্লেষণ প্রকাশ করে। একারণে তারা আবার এটাও বলে দেন, কোন দেশের ডেটাকে কতটা বিশ্বাস করা যাবে। এটাই বিশ্বব্যাংকের স্ট্যাটিস্টিক্যাল ক্যাপাসিটি স্কোর। বিশ্বব্যাংক যেহেতু নানা দেশের বিভিন্ন সূচক নিয়ে কাজ করে তাই যে কোনো দেশের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের দেয়া তথ্যে কতটুকু আস্থা রাখা যাবে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাংক তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিটি দেশের প্রোফাইল পেইজে স্ট্যাটিস্টিক্যাল ক্যাপাসিটি স্কোরটি জানিয়ে দেয়।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সাম্প্রতিকতম (২০২০ সাল) স্ট্যাটিস্টিক্যাল ক্যাপাসিটি স্কোরে সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তান (স্কোর ৫৭.৮) ছাড়া আর সব দেশের নিচে। বাংলাদেশের স্কোর ৬০। কিন্তু কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো নেপালের স্কোর ৭২.২। এমনকি যে দেশটি আমাদের দেশে হাসি ঠাট্টার বিষয়, যে দেশের নাম নিয়ে আমরা সামাজিক মাধ্যমে কৌশলে বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করি সে দেশ উগান্ডার স্কোর ৭১.১। অর্থাৎ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রকাশিত বাংলাদেশের ডেটার চাইতে নেপালের ডেটার বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি। এটা মাথায় রেখে আসুন আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে প্রাপ্ত ডেটার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে নেপালের তুলনা করি।
আগের আলোচনায় আমরা দেখেছিলাম বাংলাদেশের মাল্টিডায়মেনশনাল পভার্টি (২৪.৬) বাংলাদেশের এবসল্যুট পভার্টি (১৪.৩) এর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। অপরপক্ষে নেপালের ক্ষেত্রে দু’টো হার প্রায় সমান (১৭.৫ এবং ১৫)। এর মানে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয়ের হিসাবে হতদরিদ্র নয় এমন অন্তত আরও প্রায় দুই কোটি মানুষ ভুগছে শিক্ষার অভাব, খারাপ স্বাস্থ্য, সঠিক মানের কাজের অপ্রাপ্যতা, কাজের সঠিক পরিবেশের অভাব, সঠিক বাসস্থানের অভাব কিংবা অস্বাস্থ্যকর বা বিপজ্জনক এলাকায় বাসস্থান, সমাজে ক্ষমতায়িত হতে না পারার মত সংকটে। নেপালের ক্ষেত্রে সেটা নয়। শুধু সেটাই নয়, আমরা দেখছি নেপালে হতদরিদ্র মানুষের অনুপাত আমাদের সমান।
এবার আসা যাক উন্নয়ন প্রসঙ্গে। ‘উন্নয়ন’ শব্দটি বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে বহুশ্রুত দুই তিনটি শব্দের একটি। কোনো সরকার যদি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকে, তাহলে সেই সরকারকে কোনো একটা ন্যারেটিভ তৈরি করতে হয় অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকাকে যৌক্তিকতা দেবার জন্য। বর্তমান সরকারের সেই ন্যারেটিভ হচ্ছে উন্নয়ন, যেটা নানা কালে নানা দেশে এই ধরনের সরকার কর্তৃক ব্যবহৃত হয়েছে। এই কারণে দেশে দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাহীনতা, মৌলিক মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, এমনকি নির্বাচন ব্যবস্থার অগ্রহণযোগ্যতা সব আলোচনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে উন্নয়নের গগনবিদারী স্লোগান দিয়ে।
দীর্ঘকাল থেকেই বর্তমান সরকারের একটা প্রবণতা হচ্ছে খুব বড় বড় কিছু ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করে সেগুলোকে উন্নয়ন হিসাবে দেখানো। শুধু এটার মানেই কি উন্নয়ন? মোটেও না। কিন্তু এই ধরনের সরকার এটাকেই উন্নয়ন হিসেবে ব্র্যান্ডিং করতে চায় দু’টো কারণে। গৌণ কারণটা হলো এই উন্নয়ন চোখে দেখা যায়; বিরাট সব ভৌত অবকাঠামো দেখে মানুষ মোহিত হয়। আর মুখ্য কারণটা হলো – এই উন্নয়ন থেকে ইচ্ছেমতো দুর্নীতি করা যায়। বাংলাদেশের এমন সব মেগা প্রজেক্ট করতে গিয়ে যৌক্তিক ব্যয়ের ৪/৫ গুণ বেশি ব্যয় করে দুর্নীতির খবর এখন আমাদের খুবই গা-সওয়া ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই কারণেই এই দেশের বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে শিক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলোতে সরকারের বরাদ্দ প্রয়োজনীয় বরাদ্দের তুলনায় অনেক কম। শিক্ষার ক্ষেত্রে এটা জিডিপির অনুপাতে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশ এবং স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এটা প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বরাদ্দের এক-পঞ্চমাংশেরও কম। এই দুই ক্ষেত্রেই বরাদ্দ জিডিপির শতাংশ হারে প্রতি বছর কমছে।
আসলে এসব প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সরকারের যে বাজেট খরচ হয় সেটা সরাসরি খরচ হয় রাজস্ব বাজেট থেকে। সেবা খাতে সরকারি কর্মীদের বেতন এবং জনগণকে সামাজিক নিরাপত্তার জন্য দেয়া টাকা সরাসরি তার টার্গেটের কাছে পৌঁছে যায় বলে এই টাকায় দুর্নীতি করা সম্ভব না। ওদিকে উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা নয়-ছয় করা যায় খুব সহজে।
আক্ষেপের বিষয় হচ্ছে, সরকার যখন উন্নয়ন বলতে শুধু ভৌত অবকাঠামো বোঝায়, জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধি আর মাথাপিছু আয় বোঝায়, তখন দেশের অনেক ‘নিরপেক্ষ’ বুদ্ধিজীবী এমনকি অর্থনীতিবিদকে বলতে শোনা যায়, ‘উন্নয়ন তো হচ্ছে, কিন্তু…’। এরপর কেউ কেউ ‘যদি/কিন্তু’ যুক্ত করে দুর্নীতি, সুশাসনের অভাব কিংবা বৈষম্য বৃদ্ধির মত কিছু বিষয় নিয়ে কথা বললেও তথাকথিত উন্নয়নকে কিন্তু স্বীকৃতি দিয়ে দেন। কিন্তু সরকার যেটাকে উন্নয়ন বলছে, সেটাই কি আসলে উন্নয়ন? উন্নয়নের এই মানদণ্ড কী বর্তমান বিশ্বেই মানা হয়?
বিশ্বখ্যাত উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তার ‘ডেভেলপমেন্ট এজ ফ্রিডম’ বইটিতে উন্নয়ন শব্দটির সংজ্ঞায়ন নিয়েই আলোচনা করেছেন। কর্তৃত্বপরায়ণ দেশগুলোতে যেমন কিছু ভৌত অবকাঠামো, সাথে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় নিয়েই উন্নয়নের বয়ান তৈরির চেষ্টা হয়, সেটাকেই শক্তভাবেই চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি।
অমর্ত্য বলেন উন্নয়নকে দেখতে হবে মানুষের মুক্তি (ফ্রিডম) হিসাবে। এই মুক্তি শুধু যে কোনো কিছু করতে পারা না, এটা বরং মুক্তি পাবার সক্ষমতা অর্জন করতে পারা। মানুষের এই সক্ষমতা তৈরি নির্ভর করে, প্রভাবিত হয় মানুষের অর্থনৈতিক সুযোগপ্রাপ্তি, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক ক্ষমতা এবং ভালো স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিশ্চিত উদ্যোগকে সফল করার অনুকূল পরিবেশ প্রাপ্তির ওপরে।
অমর্ত্য আরও বলেন, উন্নয়ন মানে দারিদ্র্য, দমনকারী অপশাসন, দুর্বল অর্থনৈতিক সুযোগ, কাঠামোগত সামাজিক বঞ্চনা, রাষ্ট্রীয় সুবিধা থেকে বঞ্চনা, সামাজিক অসহিষ্ণুতা, নিবর্তনকারী রাষ্ট্রের অসহিষ্ণুতা, নিপীড়ন থেকে মুক্ত থাকতে পারা। সবগুলো বিষয়কে একত্র করে তিনি বলেছেন, উন্নয়ন মানে হচ্ছে মানুষের জীবনে নীচের পাঁচটি বিষয়ের নিশ্চয়তা থাকা।
১. রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার – বাকস্বাধীনতা, মুক্ত মিডিয়া, সভা-সমাবেশের অধিকার, প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা চাওয়ার অধিকার ইত্যাদি।
২. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা – মুক্ত শ্রমবাজার, সমান সুযোগ প্রাপ্তি, ব্যবসায় নৈতিকতা, কর্মক্ষেত্রে নারীদের মুক্ত অংশগ্রহণ ইত্যাদি।
৩. সামাজিক সুযোগ – শিক্ষা-স্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা, লৈঙ্গিক সমতা, নারীদের সম্পত্তির অধিকার ইত্যাদি।
৪. স্বচ্ছতা নিশ্চয়তা – দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রীয় সেবা পাওয়া, ন্যায়বিচার পাওয়া, বিপদে পুলিশের সহায়তা পাওয়া ইত্যাদি।
৫. নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা – জরুরী সাহায্য, আশ্রয়, সামাজিক নিরাপত্তামূলক ভাতা ইত্যাদি।
এবার আমরা আবারও নেপালের সাথে বাংলাদেশের তুলনা দেখি। স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়। এগুলো হলো – মাথাপিছু আয়, জনসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ও জলবায়ু ভঙ্গুরতা সূচক। এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটতে হলে এর মধ্যে দুইটিতে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। এর মধ্যে আমার কাছে জনসম্পদ সূচকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, কারণ একটা দেশের সাধারণ জনগণ কেমন আছে তার একটা ভালো ধারণা দেয়।
শিশু মৃত্যুর হার, মাতৃমৃত্যুর হার, অপুষ্টির কারণে খর্বকায় শিশুর সংখ্যা, সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তির অনুপাত, প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষার হার, সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক সমতা – এই ছয়টি বিষয় বিবেচনা করে জনসম্পদ সূচকটি তৈরি করা হয়। এই সূচকে নেপালের স্কোর (৭৪.৯) বাংলাদেশের (৭৫.৩) প্রায় সমান।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ এর নেপাল উভয় দেশ সমান ২১.১ পয়েন্ট নিয়ে একই অবস্থানে (৭৬ তম) আছে। বিশ্বব্যাংক ডেটায় ২০১৯ সালে নেপালের গড় আয়ু আমাদের প্রায় সমান। মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের মোট সময় এই তিনটি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা ইউএনডিপি’র মানব উন্নয়ন সূচকে (হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স) বাংলাদেশ আর নেপাল প্রায় একই অবস্থানে আছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে স্কোর ০.৬৩২ এবং অবস্থান ১৩৩। নেপালের ক্ষেত্রে যা ০.৬০২ এবং ১৪২।
নেপালের এই অর্জনকে আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য বলে মনে হবে যখন আমরা দেখবো ২০২১ সালে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে নেপালের মাথাপিছু আয় (১২২২ ডলার) বাংলাদেশের (২৫০৩ ডলার) অর্ধেকেরও কম।
শুধু সাধারণ জনগণকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে রাখলে অতি সীমিত আর্থিক সামর্থ্য নিয়েও কী ম্যাজিক হতে পারে, নেপাল আমাদের সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। আর উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে নেপাল যে পথে গেছে, সেটাই বর্তমান পৃথিবীর বিবেচনায় সেটাই সঠিক পথ, যা জনগণের জন্য সত্যিকারের কল্যাণ নিয়ে আসে।